Kavita Anjali

আরতি চৌধুরী

" আরতি চৌধুরী " আমি পিতা স্বর্গীয় হরিপদ দেবনাথ এবং মাতা স্বর্গীয়া হেমলতা দেবনাথের (পঞ্চ কন্যার মধ্যে) চতুর্থ কন্যা। আসামের বঙ্গাইগাঁও নামক একটি ছোট মফস্বল শহরে আমাদের বাসস্থান ছিল। আমি যখন নবম শ্রেণীতে পড়ি তখন বাবা আমাদের ছেড়ে পরমধামে চলে যান। ১৯৭৪ সনে বঙ্গাইগাঁও রেলওয়ে হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হই। বঙ্গাইগাঁও কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে ১৯৭৭ সনে কেন্দ্রীয় সরকারের পোস্ট অ্যান্ড টেলিকম ডিপার্টমেন্টে চাকুরী পেয়ে আসামের তেজপুর শহরে চলে যাই। তেজপুর কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করি পরবর্তী সময়ে দি নিউ ইন্ডিয়া অ্যাসুরেঞ্চ কোম্পানির চাকুরীতে যোগদান করি। এখন অবসর প্রাপ্ত জীবন যাপন করছি। ছোটবেলা থেকেই লেখার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল। বিশেষ করে কবিতার প্রতি। মফস্বল শহর থেকে সাহিত্য ভাবনায় উদ্বুদ্ব হওয়া অসম্ভব না হলেও সহজ সাধ্য ছিল না অন্তত সেই সময়।শিক্ষার জগতে আমার মা বাবার পরেই আমার মেজদা ও ছোড়দার সহযোগিতায় আমার এতখানি এগোনো সম্ভব হয়েছে। বঙ্গাইগাঁও কলেজে হায়ার সেকেন্ডারি ক্লাশে পড়ার সময় কথাশিল্পী শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের উপরে একটা প্রবন্ধ লিখে পুরস্কৃত হয়েছিলাম। বলতে গেলে এটাই বিশাল সাহিত্য জগতে আমার প্রথম পুরস্কার। তারপর থেকে লেখার প্রতি উদ্বুদ্ধ হলেও বিভিন্ন সাংসারিক কারণে সাহিত্য জগতের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলাম। গুমরে থাকা ইচ্ছাটা মাঝে মাঝে জেগে উঠতে চাইলেও পরিস্থিতি সাপেক্ষে সে ডাকে সাড়া দিতে পারিনি। বর্তমানে আবার লেখার মাধ্যমে সেই ফেলে আসা ইচ্ছাটাকে নিয়ে জীবনের বাকি পথটুকু চলা এ আমার অভিলাষ যাত্রা। আমি আমার নিজস্ব ফেসবুক কবিতার পেজ এ নিজের খুশিমতো লিখি ......